ঢাকাশুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বান্দরবানে ‘সাংগ্রাইং’ উৎসব শুরু

বান্দরবান প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪ , ০১:০৪ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বান্দরবানে শুরু হলো ‘সাংগ্রাইং’ উৎসব। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় মারমা, ম্রো, খেয়াং ও খুমিদের সর্ববৃহৎ সামাজিক এ উৎসব শুরু হয়।

রাজার মাঠ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা জেলার প্রধান সড়ক উজানীপাড়া হয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। 

বিজ্ঞাপন

এতে অংশ নেন বান্দরবানের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিং, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমীসহ সরকারি কর্মকর্তারাও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শনিবার সকাল থেকেই নিজেদের ঐতিহ্যের পোশাকে শিশু ও তরুণ-তরুণীরা রাজার মাঠে আসতে শুরু করেন। মার্মা তরুণরা লুঙ্গিসহ নানান রঙের শার্ট, সাংগ্রাইং টি-শার্ট পরে ও তরুণীরা বার্মিজ থামি, গলায় মালা ও নানান রঙের ছাতা নিয়ে আসতে থাকেন। 

এ সময় চাকমা তরুণরা ধুতি পরে, মাথায় সাদা পাগড়ি বেঁধে ও তরুণীরা পিনন, খাদি, গলায় মুদ্রার মালা পড়েন। অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা ঐতিহ্যের পোশাকে মঙ্গল শোভাযাত্রা অংশ নিতে আসেন। 

বিজ্ঞাপন

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। 

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী মারমাদের সাংগ্রাইং ও ত্রিপুরাদের বৈসু, চাকমা বিজুকে সম্মিলিতভাবে বৈসাবি উৎসব বলা হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও ত্রিপুরা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী বছরের শেষ দুদিন (২৯ ও ৩০ চৈত্র) ও নতুন বছরের প্রথম দিন (পয়লা বৈশাখ) এই তিন দিন বৈসু, বিজু ও বিষু উদযাপন করেন। বর্মী বর্ষপঞ্জি অনুসরণে মারমা, খেয়াং, খুমিসহ পাঁচটি জাতিগোষ্ঠী বছরের শেষ দিনে (৩০ চৈত্র) অথবা বাংলা বছরের প্রথম দিনে সাংগ্রাইং উৎসব পালন করেন। খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী বম, পাংখুয়া ও লুসাই এই তিন জনগোষ্ঠী বৈসাবি উৎসব উদযাপন করেন না।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |